রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার;
আজ ১২/১/২৪ রোজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঠাকা পড়ছে ঈশ্বরদী উপজেলা সহ আশ পাশের এলাকা জুড়ে।
ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যায় নাই।
চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার দাপট আর হিমশীতল বাতাসের জন্য হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে সব চেয়ে বড় বিপাকে পড়েছে ঈশ্বরদী ইপিজেট ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমজীবী মানুষ ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন মহা বিপাকে।
ঈশ্বরদী ইপিজেড ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমজীবি
, উক্ত শ্রমজীবি পুরুষ ও মহিলারা দুর দুরান্ত থেকে আসে তাদের ৭/৮ টার মধ্যে ইপিজেট ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হয়।
এই অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে ও কুয়াশার কারনে তাদের বহন কৃত গাড়ি সঠিক সময় মতো কাজে উপস্থিত করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
হতে গোনা ২/১ টি গুটিকয়েক সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে।
এবার প্রশাসনিকভাবে ঈশ্বরদী উপজেলার পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার কে নির্বাচনের আগে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে।
সড়জমিনে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে, প্ল্যাটফর্ম গিয়ে দেখতে পাই ছিন্নমূল মানুষ সহ পথ শিশুরা,
উক্ত প্ল্যাটফর্মে রাত্রিযাপন করেন।
তারা রাত্রি জাপনের জন্য বিছানাপত্র পারছেন, অনেকের শরীরে পাটের বস্তা একটা মাত্র পাতলা কাঁথা গায়ে।
ঠান্ডায় অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছেন তারা। হাতে তেমন টাকা পয়সা না থাকায় শীতের পুরনো কাপড় কিনতে পারেননি। খুব কষ্ট করে দিন কাটাতে হচ্ছে।’’
আসমা খাতুন (৪০) বলেন, “বাতাস আর ঠান্ডায় হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে।
উক্ত আসমা খাতুন বলেন আমাকে একটি শীতের কাপড় দিবেন বাবা।
আমি আর থাকতে পারছি না।
প্রান্তিক কৃষক এবং খামারীরা গরু ও ছাগল বাইরে বের করতে পারছেন না।
ঠান্ডায় গবাদিপশুগুলোর রোগ-বালাই বাড়ে। বাতাসে কাবু করে ফেলছে।’’
এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাড়া বলেন সরকারিভাবে কোন শীত বস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদে এখন পর্যন্ত আসে নাই মর্মে স্বীকার করলেও, বক্তব্য দিতে তারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছেন।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার বলেন
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শীতের সরকারি বরাদ্দকৃত কম্বল আসবে আমি আশাবাদি,
আশা মাত্র পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের খুব দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবো।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীতের তীব্রতা আগামীকাল শনিবার থেকেই কমতে শুরু করবে। আবার আগামী মঙ্গলবার থেকে কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সেখানে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে নিশ্চিত করেন
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, শীতের তীব্রতা আগামীকাল থেকে কমে আসবে। তবে ঘন কুয়াশা খুব তাড়াতাড়ি কমবে না। আগামী ২/৩ দিন কুয়াশা এমন থাকতে পারে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক বলেন আগামীকাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শীত কমতে শুরু করে আবার মঙ্গলবার থেকে মেঘ দেখা দিতে পারে। তাতে কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি আবার বাড়তে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাতে শীত আবার বাড়বে।